ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১০/০৩/২০২৫ ১০:১১ এএম

৯৫ বছর বয়সী শাহজাহান হাওলাদার পরিবারের প্রায় সকল সদস্য পবিত্র কোরআনের হাফেজ। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বাসবাড়িয়া গ্রামের মৃত হাজী নূর মোহাম্মদ হাওলাদারের ছেলে তিনি। তার পরিবারে ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনি, নাতজামাইসহ কোরআনে হাফেজ রয়েছেন ৭৯ জন।

শৈশবকালে বাবা-মা হারান শাহজাহান। তার বাবা হাফেজদের খুব ভালোবাসতেন। তাই বিয়ের পর সন্তানদের হাফেজি পড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। নিজের ছয় ছেলে ও চার মেয়ে হাফেজি শিক্ষা দেন। সন্তানদের বংশধর সকলকেও তার ইচ্ছা হাফেজি শিক্ষা গ্রহণ করে। দুই বছর আগে তাদের পরিবারে হাফেজ ছিলেন ৬৩ জন। আর এখন ৭৯ জন। গোটা পরিবারের শিশুরাও হাঁটছেন দ্বীনের পথে, শিশুরা এগিয়ে যাচ্ছেন কোরআন পাঠ করে।

শাহজাহান হাওলাদার পরিবারের ছেলেদের বিয়ে দেন হাফেজা পাত্রী দেখে। অপরদিকে মেয়েদেরও বিয়ে দেন হাফেজ পাত্র দেখে। তার এক ছেলে জেদ্দায় থাকেন। অন্যরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাদরাসায় শিক্ষকতা ও মসজিদের খতিবের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সারাদেশে নিজেদের ১৮টি হাফেজি পরিচালনা করছেন। ছয় ছেলের পরিবারে ৩২ জন সন্তান ও চার মেয়ের ২৭ জন সন্তান রয়েছে। সকলেই হাফেজ।

শাহজাহান হাওলাদার নিজে কোরআনের হাফেজ হতে পারেনি। তবে নিজের পরবর্তী প্রজন্মের সবাইকে কোরআনের হাফেজ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। বাউফল উপজেলার মানুষের কাছে তার পরিবার হাফেজ পরিবার হিসেবে পরিচিত।

যমুনা নিউজের সঙ্গে আলাপকালে এই পরিবারের সদস্য মাওলানা মোহাম্মদ জিহাদুল ইসলাম বলেন, সমাজের অধিকাংশ মানুষ মনে করেন দ্বীনের পথে কাজ করলে হয়তো পরিবারকে স্বচ্ছলভাবে পরিচালনা করা যায় না। কিন্তু আমরা সকলে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লার ইসলামের পথে কাজ করে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। আমরা সমাজে শান্তিপূর্ণ পন্থায় দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছে দেয়ার কাজ করছি। একদিন সমাজের সকল মানুষ ইসলামের দাওয়াতের কাজে অংশীদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

পাঠকের মতামত

নারী সমন্বয়ক গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলামের বাসা ভাঙচুর, লুটপাট, ...